‘ব্যাংকের সংখ্যা ৩০টির মধ্যে নামাতে হবে’
বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৩০টির মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ১৫ বছর ধরে দেশ লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনার আত্মীয়-স্বজন ও তার পৃষ্ঠপোষকতা যারা করত, তারাই লুটপাটের উৎসব চালিয়েছে। ব্যাংক খাত থেকে শুরু করে সব খাতেই দুর্নীতি হয়েছে। এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, একটি দেশে কেন ৬১টি ব্যাংক দেওয়া হলো? কোন বিবেচনায় কারা এসব ব্যাংকের মালিকানা পেল? যারা এসব ব্যাংকের মালিক হয়েছেন, তারা সবাই শেখ হাসিনার আত্মীয়। কীভাবে এস আলম একা সাতটি ব্যাংকের মালিকানা পেল?
ড. মইনুল ইসলাম আরও বলেন, একটি দেশে এত ব্যাংকের দরকার নেই। ব্যাংকের সংখ্যা ৩০টির মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি নিয়ে যদি বলি, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র সাবেক সরকারের সবচেয়ে বড় সাদা হাতি। শুধু আওয়ামী লীগ সরকার নয়, আমরা ভুলে গেছি ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপিও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। দুর্নীতির এই ধারা একদিনে তৈরি হয়নি।
আলোচনাসভায় অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়ে বলেন, মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে। নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করার মাধ্যমে সংবিধানের সংস্কার করা সম্ভব। কারণ, নির্বাচনের পর যে দল ক্ষমতায় আসে, তাদের মধ্যে পরিবর্তন করার প্রবণতা থাকে। কাজেই নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার হলে সব ব্যবস্থার সংস্কার হওয়া সম্ভব।
সেন্টার ফর গভার্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, শিল্প উদ্যোক্তা, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, নারী সংগঠক, স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের পেশাজীবীরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংস্কার বিষয়ে তাদের মতামত জানান।
News Courtesy:
https://www.dainikamadershomoy.com/details/01925e51de594